নিয়মিত ভিজিট করলে চাকুরিই আপনাকে খুঁজে নিবে

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

রাসায়নিক দ্রব্যের মজুদকরণ, চালনা ও পরিবহন নীতি সম্পর্কিত নীতিমালা

রাসায়নিক দ্রব্যের মজুদকরণ, চালনা ও পরিবহন নীতি সম্পর্কিত নীতিমালা
ভূমিকা :


অটো গ্র“প দেশের অন্যতম বৃহৎ বস্ত্র উৎপাদক ও রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের খ্যাতি আন্তর্জাতিক ভাবেও স্বীকৃত। এ প্রতিষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা কর্মচারী ও শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। প্রতিষ্ঠানের সকল স্তরের কর্মচারী ও শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে অটো নীটওয়্যার লিমিটেড, অটো টেক্সটাইলস্ লিমিটেড, জুনিপার এমব্রয়ডারীজ লিঃ ও অটো ওয়াশিং লিমিটেড বদ্ধপরিকর। শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করে সুস্বাস্থ্য ও সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। তাই জীবনের নিরাপত্তা বিধান, ঝুঁকি হ্রাস ও দূর্ঘটনা রোধ করার জন্য অটো গ্র“প রাসায়নিক দ্রব্যের সংরক্ষণ, ব্যবহার ও পরিবহণ সম্পর্কিত কেমিক্যাল নীতিমালা প্রনয়ণ করেন। এই নীতিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে-


 নিরাপদ অথবা ঝুঁকিহীন কেমিক্যাল ব্যবহার করে নিরাপদ পন্য প্রস্তুত করতে হবে।

 নিরাপদ কেমিক্যাল ও পন্যের জন্য যথেষ্ট গবেষনা উন্নয়ন ও কারিগরী প্রযুত্তির সম্বয়ন সাধন করার প্রয়াস চালাতে হবে।

 শ্রমিক, কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ঠ মানুষের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করে ঝুঁকি হ্রাসের প্রচষ্টা নিতে হবে।

 নিরাপদ ও বিকল্প কেমিক্যাল ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশের স্বাস্থ্য রক্ষার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

উদ্দেশ্য ঃ

প্রতিদিনের উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনায় অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কেমিক্যাল বা রাসায়নিক দ্রব্যের পরিবহণ, মজুদকরণ, মিশ্রণ ও ব্যবহার করতে হয়। কেমিক্যাল বা রাসায়নিক দ্রব্যের সুষ্ঠু ব্যবহার, অপচয় রোধ, পরিবেশগত ঝুঁকি, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা, কেমিক্যাল আনলোড ও যথাযথভাবে গুদামজাতকরণ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করাই হল ইহার প্রধান ও মূল উদ্দেশ্য।



কেমিক্যাল পরিবহণ:


দেশের অভ্যন্তরে বিশেষ বিশেষ রাসায়নিক দ্রব্যের পরিবহণের জন্য সিটি কর্পোরেশন বা যথাযথ কর্তৃপক্ষেও নিকট হতে অনুমতির নিমিত্তে পারমিট বা অনুমতি পত্্র ইস্যু করতে হবে। এই অনুমতি ইস্যু ব্যতিত রাসায়নিক দ্রব্যেও পরিবহণ নিষিদ্ধ।অতএব দেশের আইনের স্বার্থে ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা কওে রাসায়নিক দ্রব্যের পরিবহণের পূর্বে অবশ্যই অনুমতি ইস্যু করতে হবে।



কর্মক্ষেত্রে ব্যবহারের পরিধি : কেমিক্যাল বা রং সংরক্ষণ, ব্যবহার ও প্রয়োগের ক্ষেত্র সমূহ হলঃ কেমিক্যাল ষ্টোর, ডাইং সেকশন, ওয়াশিং সেকশন, ¯েপ্র সেকশন, ল্যাবরেটরী, স্পট রিমুভিং রুম ইত্যাদি। যা অটো টেক্সটাইলস্ লিঃ, অটো নীটওয়ার লিঃ, জুনিপার এমব্রয়ডারীজ লিঃ ও অটো ওয়াশিং লিঃ কারখানা সমূহে ব্যবহৃত হয়।

দায়িত্বশীলতা : কেমিক্যাল এবং রং অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর রাসায়নিক পদার্থ। যাহার ক্রয়, গুদামজাতকরন, ব্যবহার, নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশের ঝুঁকি নিরুপনে বিভিন্ন স্তরে দায়িত্বশীলতার বিষয়টি অতি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হচ্ছে। তাই অটো কর্তৃপক্ষ দায়িত্বশীল ব্যক্তি কর্তৃক বিভিন্ন স্তরে কেমিক্যালের সুষ্ঠু ব্যবহার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে যাচ্ছে যাহা নিম্নরুপঃ

কেমিক্যাল গুদামজাতকরনের দায়িত্ব : প্রত্যেক কারখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ষ্টোর ইনচার্জের দায়িত্বে কেমিক্যাল, রং বা এ জাতীয় দ্রব্যাদি সংরক্ষণ বা গুদামজাতকরণ করা হয়। সঠিকগুদামজাতকরণের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়।এই থেকে সহজেই কেমিক্যালের বর্তমান মজুদ,উত্তোলন ও চাহিদা সর্ম্পকে জানা যায়। প্রত্যেক কারখানার স্টোর ইন চাজ উক্ত বিষয়টির তদারকি করেন। প্রত্যেক স্টোরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যক্তিগত সুরক্ষাকারি যন্ত্র আছে কিনা তাও তিনি তদারকি করবেন।এছাড়া কেমিক্যালের পাত্রে লেভেল লাগানো, এম এস ডি এস লাগানো, কেমিক্যাল বন্টন করাও ষ্টোর ইনচার্জের দায়িত্বের অর্ন্তভূক্ত। এছাড়াও সেকেন্ডারী কন্টেইমেন্ট এর ব্যবস্থা রাখতে হবে।

কেমিক্যাল বন্টনের ক্ষেত্রে দায়িত্বঃ সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধানগণ কেমিকেলের জন্য চাহিদা পত্র প্রদান করবেন এবং উক্ত চাহিদা পত্রে উল্লেখিত পরিমান অনুযায়ী ষ্টোর থেকে কেমিক্যাল উত্তোলন করবেন। ষ্টোরের দায়িত্বেরত শ্রমিক চাহিদাপত্র মোতাবেক কেমিক্যাল প্রদান করবেন। তবে তিনি অবশ্যই ঐ সময় হ্যান্ডগ্লাভস, মার্স্ক এবং গগলস পরিধান করবেন। সমস্ত রং ও কেমিক্যাল কন্টেইনার এর গায়ে অবশ্যই লেভেল ও পরিচিতি চিহ্ন, ক্ষতিকারক চিহ্ন থাকবে হবে। যদি কেমিক্যাল বা রং এর ব্যবহার শেষ হয়ে যায় তাহলে খালি কন্টেইনারটি যথাশ্রীঘ্র কেমিক্যাল ওয়েষ্টেজ গোডাউনে রাখতে হবে।

ক্যামিকেল ব্যবহার নিশ্চিত করনের দায়িত্ব : ক্যামিকেল ষ্টোর থেকে নেওয়া পরে উহা যথাযথ ভাবে ডাইং সেকশনে অথবা অন্য কোন সেকশনে যথাযথ ব্যবহারের দায়িত্ব সেকশন ইনচার্জের উপর বর্তাবে। কেমিক্যাল কোন প্রকারে যত্রতত্র ব্যবহার বা কোথায়ও অজান্তে অপচয় করা যাবে না। স্টোর ছাড়া কোথাও অব্যবহৃত ক্যামিকেল বা ডাই ফেলে রাখা যাবে না।

ক্যামিকেল সন্তাক্তকরন, লেবেলিং এবং পৃথকীকরণঃ সমস্ত কেমিক্যালের পাত্রের গায়ে অবশ্যই উৎপাদক বা সরবরাহকারীর নাম, ঠিকানা এবং ক্ষতিকারক চিহ্ন সংবলিত লেভেল লাগাতে হবে। এছাড়া স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি ও ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবহারের নির্দেশনা থাকবে। উক্ত লেভেলিং সনাক্ত করন, ক্ষতিকারক চিহ্ন, নিরাপত্তা নিদের্শনাবলী পর্যবেক্ষণ ও নিশ্চিত করণের দায়িত্ব অফিসার, ল্যাবরেটরী।লেভেলিং ছাড়া যেখানে সেখানে কেমিক্যাল সংরক্ষণ বা মজুদ করা যাবেনা ।

কেমিক্যাল বা রাসায়নিক পদার্থ অতি ষ্পর্শকাতর বস্তু তাই উহা প্রথমত পৃথক করতে হবে পৃথক করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে করে কোনভাবেই এক কেমিক্যাল অন্য কেমিক্যালের সাথে মিশে না যায় অথবা কিছু কিছু রাসায়নিক পদার্থ আছে যাহা অন্য কেমিক্যালের সংস্পর্শে এলে সয়ংক্রিয়ভাবে রাসায়নিক বিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তাই পৃথকীকরণ করার সময় কেমিক্যালের ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য সর্ম্পকে অভিজ্ঞ ব্যক্তির উপস্থিত থাকতে হবে। কেমিক্যাল পৃথকের পর উহাকে একই পদ্ধতিতে আলাদাভাবে মজুদ করতে হবে এবং মনে রাখতে হবে যেই কেমিক্যাল অন্য কেমিক্যালের সংস্পর্শে বিক্রিয়া ঘটানোর সম্ভাবনা রাখে তাদেরকে অবশ্যই আলাদা প্রেমিসেস এ সংরক্ষণ করতে হবে। কোম্পানীর অফিসার কেমিক্যালের পৃথকীকরণ ও মজুদ করণের যথাযথ মনিটরিং করার দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন ।

কেমিক্যাল স্পিলেজ নিয়ন্ত্রণঃ


কেমিক্যালের ঝার বা পাত্র কোন কারণে ছিদ্র বা ফুটো হয়ে গেলে অথবা কেমিক্যাল অন্যকোন কারনে স্ফীতি ঘটিয়ে ফ্লোর বা ষ্টোরে পরে গেলে সাথে সাথে খালি ড্রাম বা পাত্রে অবশিষ্ট কেমিক্যাল ঢেলে রাখা হয় এবং ফ্লোরে পড়ে যাওয়া কেমিক্যাল যতদুর সম্ভব উঠানো হয়, যাহা উঠানো সম্ভব নয় তা পানি ও ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে উচ্ছিষ্টাংশ ইটিপি ড্রেনে ফেলে দেয়া হয়। যাহাতে কোন প্রকার পরিবেশের ক্ষতি সাধিত না হয়।অনিচ্ছাকৃত দূর্ঘটনা বা স্পিলেজ হওয়ার পর সংশিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারি উক্ত দূর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান কওে ভবিষ্যতের জন্য উপযুক্ত প্্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

ব্যবহৃত পাত্র বা ড্রাম সংরক্ষণ ও ব্যবস্থা পদ্ধতিঃ


কেমিকেলের ড্রাম বা পাত্র খালি হলে সাথে সাথে উহা কেমিক্যাল ওয়েষ্টেজ গোডাউনে রাখা হয় এবং নিদ্দিষ্ট সময় শেষে স¤ভব হলে কেমিক্যাল সরবরাহকারীদের নিকট ফেরত পাঠানো হয়। কেমিক্যাল ব্যবহৃত পাত্র কোন ক্রমেই স্থানীয় বাজারে বা লোকাল কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট সরবরাহ বা বিক্রয় করা যাবে না। তবে ফ্যাক্টরীর অভ্যান্তরে ময়লা, ওয়েষ্টেজ ওয়াটার অথবা অন্যকোন কাজে ব্যবহার করা হলে অবশ্যই উক্ত ড্রাম বা পাত্রকে ভালভাবে গরম পানি দিয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে এবং উক্ত পাত্রের গায়ে যাহার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে তাহার নাম লিখে দিতে হবে। ব্যবহৃত কেমিক্যাল পাত্র বা ড্রাম শোধন করে করার চেষ্টা করতে হবে। উক্তপাত্র ব্যবহারের পরে যদি পরিবেশের কোন ক্ষতি হয় তাহলে উহা অবশ্যই পরিহার বা ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে। ব্যবহৃত কেমিক্যাল পাত্র বা ড্রামের জন্য জবমরংঃবৎ ব্যবহার করতে হবে

কেমিক্যালের পরিবেশগত ঝুকির দায়িত্বঃ


কেমিক্যাল বা রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহারে পরিবেশের উপর এর বিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই ব্যবিলন গ্রপ সর্বদা পরিবেশের বিষয়টি নিয়মিত অতি গুরুত্ব দিয়ে আসছে। এজন্য পরিবেশের ঝুকির বিষয়টি অনুসন্ধান, নিরূপন ও বিশ্লেষণ করে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যিনি তার দায়িত্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পরিবেশগত ঝুকি নিরুপণ করে কারখানা, পরিবেশ, মানুষ ও দেশকে ক্ষতিকারক বিষক্রিয়া থেকে মুক্ত রাখবেন। কারখানার পরিবেশগত অবস্থা, মান বা ঝুঁকি নিরুপণের জন্য বিভিন্ন

প্রশিক্ষন পদ্ধতি :


কেমিক্যাল ব্যবহার ও বন্টনের ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করা একান্ত জরুরী। পাশাপাশি প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই। উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরী করা এবং কারখানায় রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহারগত ঝুঁকি ও দূর্ঘটনার থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। তাই এ ক্ষেত্রে ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জামাদির ব্যবহার, কেমিকেল সংরক্ষন প্রক্রিয়া , ক্ষতিকারক চিহ্ন, পরিচিতি চিহ্ন, লিকেজিং, লেভেলিং, পৃথকীকরন, বন্টন ইত্যাদি স¤পর্কে শ্রমিকদের সম্যক ধারণা ও প্রশিক্ষণ প্রদান একান্ত আবশ্যক ও গুরুত্বের দাবীদার। তাই প্রতি ছয় মাস অন্তর শ্রমিকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রতিটি প্রশিক্ষণের ফিটব্যাক আবার শ্রমিকের নিকট থেকে বাস্তবে গ্রহন করা হয়। এছাড়া শ্রমিক কর্তৃক যদি কোন সমস্যা উত্থাপিত হলে তাহা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচরে এনে এর সমাধান করা হয় ও নোটিশের মাধ্যমে শ্রমিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়।

ম্যাটেরিয়ালস সেফটি ডাটা সীট :


কেমিক্যাল বা রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী প্রদান করেন। একটি ম্যাটারিয়াল সেফটি ডাটা সীট থেকে প্রায় ১৬ টি তথ্য পাওয়া যায়। যেমন রাসায়নিক দ্রব্যের নাম ও ক্ষতিকর বিষয়গুলো, কোম্পানীর নাম, বিপদ সংকেত, প্রাথমিক চিকিৎসা, অগ্নি নিরাপত্তা, ব্যবহার পরিবহন ও সংরক্ষণ বিধি, পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত ইত্যাদি। কেমিক্যাল বা রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার মওজুদ, মিশ্রণ, ও পরিবহনের আগে এর নিরাপত্তা তথ্য ও নির্দেশাবলী ভালভাবে পড়তে হবে এবং তা মেনে কাজ করতে হবে। সম্পর্কে শ্রমিকদেরকে অতিরিক্ত জ্ঞান ও পরিচিত করাতে হবে। একই সাথে কেমিক্যেল যেখানে রাখা হয়, সেখানে স্থানীয় ভাষায় ও ইংরেজীতে লিখে রাখতে হবে । ৬ (ছয়) টি পয়েন্টের স্থানীয় ভাষায় করতে হবে। এ নিচের বিষয় গুলো অত্তর্ভূক্ত থাকতে হবে:

১. প্রস্তুতকৃত কেমিক্যলের পরিচিতি ও কোম্পানির পরিচিতি,

২. ঝুঁকি সনাক্তকরণ,

৩. উপাদান পরিচিতি/ যা দিয়ে গঠিত,

৪. প্রাথমিক চিকিৎস্যা পদ্ধতি,

৫. অগ্নি নির্বাপণ পরিমাপ,

৬. দূর্ঘটনা পরিত্রাণের উপায়।


জরুরী অবস্থায় করনীয়/ নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি :


কারখানায় সংঘঠিত প্রতিটি দূর্ঘটনা বা জরুরি অবস্থাকে বিবেচনা কওে যথাযথ সচেতনতামূলক ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়াšেত পূর্বে সংঘটিত দূর্ঘটনা বা জরুরি অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ও কারখানার শ্রমিকদেও সাথে আলোচনা করে দূর্ঘটনা বা জরুরি অবস্থা মোকাবেলা করার জন্য দল বা কমিটি গঠন করে উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে। মাঝে মাঝে কেমিক্যাল ফায়ার ড্রিল বা মক্ এক্সিডেন্টের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের আয়োজন করতে হবে। রাষায়নিক ঝুঁকি ব্যবস্থার অংশ হিসেে নিতে হবে। দূর্ঘটনা বা জরুরি অবস্থা মোকাবেলা করার পর্যাপ্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা থাকতে হবে। যদি কোন দূর্ঘটনা ঘটে, সে ক্ষেত্রে অনুসরণ করে প্রাথমিক ব্যবস্থা করতে হবে। দূর্ঘটনার ধরন পর্যালোচনা পূর্বক ও ফ্যাক্টরী ইনচার্জ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন এবং ভবিষ্যতে যাহা যে, এ ধরনের দূর্ঘটনা না ঘটে সে সম্পর্কে শ্রমিকদের মাঝে সচেতনতা ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাকরণঃ


কারখানায় বিভিন্ন রাষায়নিক দ্রব্য বা ডাইস্ ব্যবহৃত হয়, য়ার ফলে শ্রমিকদেও স্বাসথ্য ঝুঁকি বেড়ে যায়।স্বাসথ্য ঝুঁকি কমানোর জন্য উপযুক্ত প্রতিরোধমূলক চর্চা বা অভ্যাসের সাথে শ্রমিক বা কর্মচারিদেরকে অভ্যস্থ করতে হবে।নির্দিষ্ট সময় অন্তর স্বাস্থ্য বিশারদ দ্বারা শ্রমিক বা কর্মচারিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে।কেমিক্যেল ষ্টোরে সংরক্ষণ বা সেকশনে ব্যবহারের দায়িত্বে নিয়োজিত শ্রমিকদের স্বাস্থ্যগত কোন সমস্যা সৃষ্টি হলে সাথে সাথে চিকিৎসারও ব্যবস্থা করতে হবে। কোন শ্রমিকের স্বাস্থ্যগত চিকিৎসায় যেন বিন্দুমাত্র সমস্যা বা অবহেলা না হয় , সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

কর্মপরিবেশের অবস্থা পরীক্ষনঃ


বিভিন্ন রাষায়নিক দ্রব্য বা ডাইস্ ব্যবহারের কারণে কারখানার অভ্যন্তরীণ কর্মপরিবেশের অবস্থার অবনতি হতে পারে।বিশেষ ভাবে কারখানা অভ্যন্তরীণ কর্মপরিবেশের বায়ু দূষণের সম্ভাবনা আছে। দেশে বলবৎ পরিবেশের আইনের সাথে সংগতি রেখে অভ্যন্তরীণ বায়ুর অবস্থা নিরূপন করতে হবে। বায়ুর মান নিরূনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর বিশেষ সেবা দিয়ে থাকে। পরিবেশ অধিদপ্তরের সহায়তায় নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর অভ্যন্তরীণ বায়ুর মান বা অবস্থা যাচাই করে যথাযথ সতর্কতামূলক বা প্রতিরোধমূলক ব্যব¯থা নিতে হবে। বায়ুর মান বা অবস্থা যাচাই কওে, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

উপসংহার :


অটো গ্র“প দেশের অন্যতম বস্ত্র উৎপাদক ও রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান। বস্ত্র উৎপাদন করতে গিয়ে কারখানায় বিভিন্ন রাষায়নিক দ্রব্য বা ডাইস্ ব্যবহৃত হয়, যার ফলে শ্রমিক, কর্মচাি দের স্বাসথ্য ঝুঁকি এবং পরিবেশ দূষণের ঝুঁকি সৃষ্টি হয় ।কেমিক্যাল বা রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহারে পরিবেশের উপর এর বিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই ব্যবিলন গ্রপ সর্বদা পরিবেশের বিষয়টি নিয়মিত অতি গুরুত্ব দিয়ে আসছে।ঝুঁকিমুক্ত নিরাপদ ও পরিমিত রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে পরিবেশ ও শ্রমিদের স্বাস্থ্য অক্ষুন্ন রাখতেই রাসায়নিক দ্রব্যের পরিবহণ, গুদামজাতকরণ এবং ব্যবহার সম্পর্কিত এই পলিসি বা নীতিমালা প্রণীত হয়েছে। ভবিষ্যতে উপরোক্ত নীতিমালা পরিবর্তন ,পরিবর্ধন ও নতুন বিষয়ের সংযোজন বিবেচনার দাবি রাখে ।উপরোক্ত নীতিমালা পরিবর্তন ও পরিবর্ধন ফ্যাক্টরী ম্যানেজার ও এইচআর ম্যানেজার সংরক্ষন করেন।

Share :

Facebook Twitter Google+
0 Komentar untuk "রাসায়নিক দ্রব্যের মজুদকরণ, চালনা ও পরিবহন নীতি সম্পর্কিত নীতিমালা"

Back To Top