নিয়মিত ভিজিট করলে চাকুরিই আপনাকে খুঁজে নিবে

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

জরুরী অবস্থা/দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা



জরুরী অবস্থা/দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা


জরুরী অবস্থা/দূর্যোগ





সূচনা : ঘটনা আর দুর্ঘটনা নিয়েই মানুষের জীবন।বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীপ রাস্ট্র। ভৌগলিক অবস্থানগত কারনেই দুর্ঘটনা এদেশের মানুষের নিত্যসঙ্গী। দুর্ঘটনা নিয়েই আমাদের পথ চলা। তাই দুর্ঘটনার যেকোন ঘটনায় আমাদেরকে বিচলিত না হয়ে বরং এর মোকাবেলায় হতে হবে দৃঢ় প্রত্যয়ী। এর জন্য প্রয়োজন একটি সুষ্ঠু দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রনয়ন।

অরস

নীতিমালা প্রনয়নের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য : । আল-মুসলিম গ্র“পে কর্মরত সকল শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্র কোম্পানীর কর্তৃপক্ষের নৈতিক দায়িত্ব। সঙ্গত কারনেই আল-মুসলিম গ্র“প কর্তৃপক্ষ যেকোন দুর্যোগ, দুর্ঘটনায় এখানে কর্মরত সকলের নিরাপত্তা বিধানে বদ্ধ পরিকর । আর যেকোন দুর্যোগ ,দুর্ঘটনা মোকাবেলা ও এর হাত থেকে জান-মালের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি এড়ানোই এ নীতিমালা প্রনয়নের উদ্দেশ্য।


কার্যকরী পরিষদ/ সংগঠক : বিগত দিনগুলোর অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে যে, গার্মেন্টস্ শিল্পে হঠাৎ

করে দূর্যোগ এসে গার্মেন্টস্ প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করছে। দূর্যোগ সাধারণতঃ দুইভাবে আসতে পারে। যেমনঃ

প্রাকৃতিকভাবে ও মানুষের দ্বারা

দূর্যোগ যেভাবেই আসুক না কেন তা মোকাবেলা করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি দুর্যোগ পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করে থাকেন।

নিন্মে কমিটির গঠন প্রনালী দেওয়া হলোঃ

১. পরিচালক - সভাপতি

দায়িত্বঃ দুর্যোগ পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন ও সঠিক দিক নির্দেশনা প্রদান।

২. জি,এম প্রসাশন - সহ: সভাপতি

দায়িত্বঃ আহত লোকজনকে যত দ্রুত সম্ভব প্রযোজন অনুযায়ী নিকটবর্তী হাসপাতালে প্রেরন করতে হবে। অনতিবিলম্বে ফায়ার ব্রিগেড ও নিকটবর্তী হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য টেলিফোন করতে হবে।

ফোনঃ ফায়ার ব্রিগেড- ৭৭৪৮৩৩৩, হাসপাতাল- ৭৭১১৪৪৩, বিদ্যুৎ অফিস-৭৭৪৬১৭৬,

সাভার থানা-৭৭৪৫৪১১,রেড ক্রিসেন্ট-৯১১৬৫৬৩।

৩. জি.এম/এ.জি.এম-ন্স - সাংগঠনিক সম্পাদক

দায়িত্বঃ দুর্যোগ মোকাবেলায় কমিটিকে প্রয়াজনীয় সহায়তা প্রদান, পরিস্থিতি অনুযায়ী সার্বিক পদক্ষেপ গ্রহন ও দুর্যোগ পরবর্তী পুরো পরিস্তিতি তদারকী করন।

৪. ম্যানেজার

দায়িত্বঃ দুর্যোগ মোকাবেলায় কমিটিকে চিকিৎসা সেবা/উদ্ধার কর্মকান্ডে টিম সহ ফিডব্যক প্রদান। পাতা-১


দায়িত্বঃ দুর্ঘটনার সময় কারখানার সকল জরুরী বর্হিগমন গেটে এবং ফ্লোরে কোথাও যেন মেশিন রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃস্টি না হয়, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন।

৬. মোঃ ফরহাদ -নিরাপত্তা ম্যানেজার ।

দায়িত্বঃ দুর্যোগের সময় কারখানার সার্বিক নিরাপত্তার জোরদার করা,অনুপশেকারীদেরকে প্রতিহত করা।

৭. মোঃ গিয়াস উদ্দিন-ইলেকট্রিক্যাল চীফ

দায়িত্বঃ অগ্নি বা অন্য যে কোন দুর্ঘটনায় কারখানার ও ফ্লোর ভিত্তিক বৈদ্যুতিক মেইন সুইচগুলো বন্ধ করার সার্বিক পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।

৮. মোঃ নজরুল ইসলাম- ইলেকট্রিক্যাল ম্যানেজার

দায়িত্বঃ অগ্নি বা অন্য যে কোন দুর্ঘটনায় বয়লার /জেনারেটরের নিরাপদ নিয়ন্ত্রন কর্যক্রম গ্রহন করা।


নীতিমালা প্রয়োগ ও মূল্যায়ন পদ্ধতি/ প্রক্রিয়া:

যে কোন ধরনের দূর্যোগ যেমন বন্যা,সাইক্লোন,ভূমিকম্প,অগ্নিকান্ড,বয়লার বিস্ফোরন অথবা উত্তেজিত জনতার আগমন যা কারখানার ভেতরে অথবা বাইরে সংগঠিত হয়ে কারখানা এবং শ্রমিকের ক্ষতির কারন হয়ে দাড়াতে পারে, তা মোকাবেলা করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

০১
।ক) দুর্যোগ ভয়াবহতা যদি তীব্র হয় এবং যদি এমন আশংকা থাকে যে,দূর্যোগে জান মাল মেশিন ও অন্যান্য দ্রব্যাদির ক্ষতি হবে তাহলে কারখানা বন্ধ ঘোষনা করতে হবে।

খ) ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন প্রকার দ্রব্যাদি যেমন- কাপড়, তৈরী পোষাক,মেশিন, মেশিনের অংশ অথবা অন্যান্য মূল্যবান দ্রব্যাদি নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিতে হবে।

গ) শ্রমিক কর্মচারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হবে এবং তাদের গন্তব্যে নিরাপদে পৌছিয়ে দেয়া নিশ্চিত করা হবে।

ঘ) প্রয়োজনে বিদ্যুতিক সরবরাহ বন্ধ করে দিতে হবে।

ঙ) দূর্যোগে পতিত শ্রমিক কর্মচারীদের দ্রুত উদ্ধার করে আহতদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে হবে এবং গুরুতর আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।

চ) প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় ছোটখাট চুরি এবং বৃহৎ চুরির আশংকা খুব বেশী থাকে তাই এ সময় নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। সকল সিকিউরিটি পয়েন্টে ইমারজেন্সি লাইটের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

ছ) দূর্যোগ শেষ হওয়া মাত্রই কারখানা পুনরায় সচল করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

০২। কর্ডন পার্টিঃ দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য কারখানায় তাৎক্ষনিকভাবে গঠিত একটি কর্ডন পার্টি থাকবে। এ পার্টি তৎক্ষনাৎ কারখানার গেটের ভিতর এবং বাহিওে অবস্থান নিবে। অনুপ্রবেকারীদেরকে প্রতিহত করবে, চলাচলের পথ উন্মুক্ত রাখবে যাতে লোকজন,ফায়ার ব্রিগেড, এ্যাম্বুলেন্স, পুলিশের গাড়ী নির্বিগ্নে চলাচল করতে পারে।

০৩। উদ্ধারকারী দলঃএ দল প্রথমে দুর্যোগ কবলিত মানুষ, পরে মালামাল উদ্ধার করবে।

০৪। চিকিৎসক দলঃ চিকিৎসক দল দুর্যোগ কবলিতদের কারকানার চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করবে। প্রয়োজন হলে হাসপাতালে রেফার করবে।



নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করন/ যোগাযোগঃ প্রাকৃতিক বা মানবসৃস্ট দুর্যোগের মোকাবেলায় তাৎক্ষনিক কি করনীয় সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ ওয়াকিবহাল ও কর্মরত সকলের নিরাপত্তা বিধানে প্রতিশ্র“তি বদ্ধ। সে লক্ষ্যে অত্র কারখানায় বিদ্যমান রয়েছে মিটিং ও বিভিন্ন প্রকার মোটিভেশনাল ট্রেনিং এর ব্যবস্থা । এই পলিসি যাতে কারখানার সব জায়গায়, সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী সকলেই যাতে অবগত হতে পারেন তার জন্য সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে অবহিতকরন একটি চলমান প্রক্রিয়া। এছাড়াও কারখানার নোাটিশ বোর্ড, ব্যানার, প্রশিক্ষণ ইত্যাদির মাধ্যমে অবহিত করা হয়।


এই পলিসি কারখানায় বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ সর্বদা সচেতন এবং সার্বিক ব্যাবস্থা গ্রহন করে। এর পরও যদি পলিসি বাস্তবায়ন না হয় বা বাস্তবায়নের পথে কোন বাধাঁর সস্মুখীন হয়, তবে সদা নিয়ন্ত্রন করার জন্য কার্যকরী পরিষদ ও নির্বাহী পরিচালক ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন। এমনকি মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের হস্তক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

পরিশিষ্ঠ : মানুষ প্রকৃতির সন্তান। আর এই প্রকৃতিই কখনও কখনও মানুষের প্রতি নেয় প্রতিশোধ। এই প্রতিশোধ যে কত নির্মম, ভয়াবহ, এর ক্ষতি যে কত অপূরনীয় তা বোঝা যায় সিডর, আয়লা নার্গিসরা যখন লন্ডভন্ড করে সর্বত্র সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে করে নিস্ব। এতকিছুর পরও দুর্যোগের সময় আমাদেরকে বিচলিত হলে চলবে না। আমাদের বেঁচে থাকতে হলে সাহসিকতার সাথে তা মোকাবেলা করতে হবে। মনে রাখতে হবে বিপদে মোরে রক্ষা কর এ নহে মোর প্রার্থনা, বিপদে আমি না যেন করি ভয়। আল্লাহ না করেন যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটেই যায় তাহলে আমাদের সকলকে সম্মিলিতভাবে সাহসের সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হবে।

জরুরী দুর্যোগ মোকাবেলায় করনীয় সম্পর্কে জানুন, নিজেকে নিরাপদ রাখুন।






নীতিমালা প্রস্তুতকারক:

Share :

Facebook Twitter Google+
0 Komentar untuk "জরুরী অবস্থা/দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা"

Back To Top