জাতীয় পরিবেশ পদক নীতিমালা
১। ভূমিকা :
উন্নত পরিবেশ সুস্থ জীবনের পূর্বশর্ত। আধুনিকায়ন, নগরায়ণ, শিল্পায়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। একইসাথে এসবের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হিসেবে দেশের পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বাংলাদেশের সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত এবং পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশ সংরক্ষণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদানে সরকার বদ্ধপরিকর। পরিবেশ ও প্রতিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নকে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে সরকার সংবিধানে ১৮(ক) অনুচ্ছেদ সংযোজন করেছে। উক্ত অনুচ্ছেদ মোতাবেক রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করবে এবং জীববৈচিত্র্য জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণির নিরাপত্তা বিধান করবে। পরিবেশের ক্ষেত্রসমূহ ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হওয়ায় সরকারের পক্ষে এককভাবে পরিবেশ রক্ষায় যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত দূরহ। দেশের প্রতিটি নাগরিককে তাঁর অবস্থান থেকে পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে। এ প্রেক্ষাপটে, সরকার পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে জাতীয় পরিবেশ পদক প্রবর্তন করে। শুরুতে চারটি ক্যাটাগরি যথা: (ক) পরিবেশ সংরক্ষণ, (খ) পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ, (গ) পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং (ঘ) পরিবেশগত শিক্ষা ও প্রচার - এ জাতীয় পরিবেশ পদক প্রদান এবং জাতীয় পরিবেশ পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে স্বর্ণ পদক, সনদপত্র এবং ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা সম্মানী প্রদান করা হতো। পরবর্তীতে ২০১১ সালে জাতীয় পরিবেশ পদকের সম্মানী ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকায় উন্নীত করে জাতীয় পরিবেশ পদক নীতিমালা সংশোধিত হয়। পরিবেশ সংরক্ষণ এবং উন্নয়নে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ব্যক্তিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও অনন্য অবদান রেখে চলেছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ মে ২০১২ তারিখে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় পরিবেশ পদক কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুসরণে পরিবেশ উন্নয়নে ব্যক্তি সাধারণের অবদানকে স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে জাতীয় পরিবেশ পদক নীতিমালা পুনরায় সংশোধনের উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে। সে মোতাবেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ৬ (৩+৩)টি ক্যাটাগরিতে জাতীয় পরিবেশ পদক প্রদান করা হবে।
জাতীয় পরিবেশ পদক :
জাতীয় পরিবেশ পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে ২১ (একুশ) ক্যারেট মানের ২ (দুই) তোলা ওজনের স্বর্ণের বাজার মূল্য ও আরো ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকার চেক, ক্রেস্ট এবং সনদপত্র প্রদান করা হবে।
ক্যাটাগরি :
পর্যায় পদকের শ্রেণী
(ক) ব্যক্তিগত (১) পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ
(২) পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা ও প্রচার
(৩) পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন
(খ) প্রাতিষ্ঠানিক (১) পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ
(২) পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা ও প্রচার
(৩) পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন
৪। প্রার্থী বাছাইয়ে বিবেচ্য :
- ক্রমিক (ক্যাটাগরি ক্রমিক অনুসরণে) ক্যাটাগরি প্রার্থী বাছাইয়ে বিবেচ্যসূচক
- ব্যক্তিগত পর্যায়ে পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ
- ক্দশের পরিবেশ উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান
- ক্রিবেশগত মান উন্নয়নে কর্মসূচি গ্রহণ ও সহায়তা প্রদান
- দূষণ নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য অবদান
- দূষণ নিয়ন্ত্রণে কর্মসূচি গ্রহণ ও সহায়তা প্রদান
- পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে দৃষ্টান্ত স্থাপন
- জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অর্জন
- পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য অবদান
- পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিতে দৃষ্টান্ত স্থাপন
- পরিবেশ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রকাশ
- পরিবেশ বিষয়ক প্রকাশিত মৌলিক প্রবন্ধ/গ্রন্থ/পত্রিকা/ সাময়িকী
- পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা সম্প্রসারণে উল্লেখযোগ্য অর্জন
- ব্যক্তিগত পর্যায়ে পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন
- পরিবেশগত সমস্যা সমাধানে প্রযুক্তি উদ্ভাবন
- উদ্ভাবিত প্রযুক্তির কার্যকারিতা, সহজলভ্যতা, স্বল্প ব্যয় সাপেক্ষতা এবং স্থায়ীত্ব
- পরিবেশ গবেষণামূলক মৌলিক প্রকাশনা
- পরিবেশবান্ধব উন্নত জাত/পদ্ধতির উদ্ভাবন
- প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ
- দেশের পরিবেশ উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান
- পরিবেশগত মান উন্নয়নে কর্মসূচি গ্রহণ ও সহায়তা প্রদান
- দূষণ নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য অবদান
- দূষণ নিয়ন্ত্রণে কর্মসূচি গ্রহণ ও সহায়তা প্রদান
- পরিবেশ আইন প্রতিপালনে উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ ও অবদান
- পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে দৃষ্টান্ত স্থাপন
- জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অর্জন
- প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা ও প্রচার
- পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য অবদান
- পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিতে দৃষ্টান্ত স্থাপন
- পরিবেশ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রকাশ
- পরিবেশ বিষয়ক প্রকাশিত মৌলিক প্রবন্ধ/গ্রন্থ/পত্রিকা/ সাময়িকী
- পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা সম্প্রসারণে উল্লেখযোগ্য অর্জন
প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন ক্স পরিবেশগত সমস্যা সমাধানে প্রযুক্তি উদ্ভাবন
উদ্ভাবিত প্রযুক্তির কার্যকারিতা, সহজলভ্যতা, স্বল্প ব্যয় সাপেক্ষতা এবং স্থায়ীত্ব
পরিবেশ গবেষণামূলক মৌলিক প্রকাশনা
পরিবেশবান্ধব উন্নত জাত/পদ্ধতির উদ্ভাবন
৫। মনোনয়ন/আবেদনপত্র প্রক্রিয়াকরণের পদ্ধতি ও সময়সূচি :
কার্যক্রম পদ্ধতি সময়
মনোনয়ন/আবেদনপত্র আহবান প্রিন্ট মিডিয়া/ওয়েবসাইট ১৫ নভেম্বরের মধ্যে
সংশ্লি¬ষ্ট জেলা/মহানগর/বিভাগীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন/আবেদনপত্র গ্রহণ ডাক/কুরিয়ার সার্ভিস/ব্যক্তিগতভাবে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে অফিস চলাকালীন যে কোনো সময়
বিভাগীয় কমিটির মনোনয়ন/সুপারিশ প্রেরণ (ক) বিভাগীয় কমিটি সরেজমিন পরিদর্শন ও যাচাই বাছাই করে সুপারিশসমূহ মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তরের নেতৃত্বাধীন কারিগরি কমিটি বরাবর প্রেরণ করবে ২৫ ফেব্র“য়ারির মধ্যে
(খ) বিভাগীয় কমিটি প্রতি ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ ৩ (তিন)টি আবেদন সুপারিশ করে কারিগরি কমিটির নিকট প্রেরণ করবে
জাতীয় কমিটি বরাবর মনোনয়ন/সুপারিশ প্রেরণ কারিগরি কমিটি আবেদনগুলো যাচাইপূর্বক প্রতি ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ ৩ (তিন)টি আবেদনের সুপারিশ জাতীয় কমিটির নিকট প্রেরণ করবে ১৫ মার্চের মধ্যে
জাতীয় পরিবেশ পদকের জন্য ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের তালিকা চূড়ান্তকরণ জাতীয় কমিটি প্রাপ্ত মনোনয়ন পুংখানুপুংখভাবে যাচাই-বাছাই করে পদকের জন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তালিকা/নাম চূড়ান্ত করবে ৩১ মার্চের মধ্যে
0 Komentar untuk "জাতীয় পরিবেশ পদক নীতিমালা"